মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে কেউ গৃহহীন ও ভুমিহীন থাকবেনা-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী

কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি বলেছেন মুজিব বর্ষ এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা বাংলাদেশের কেউ গৃহহীন এবং ভুমিহীন খাকবেনা। সেই লক্ষ্যে সারাদেশে সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ৯ লক্ষ বাড়ি নির্মান করে গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার কারন প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনার লক্ষ্য এদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কেউ ঠিকানাহীন থাকবে না।

প্রতিমন্ত্রী বৃহষ্পতিবার (০১ জানুয়ারি)  বিকাল ৪টায় নওগাঁ জেলা ত্রান গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ কথা বলেছেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন, নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদসহ ত্রান মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় ত্রান বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রান প্রতিমন্ত্রী বলেছেন দেশে বিভিন্ন দুর্যোগ মুহুর্তে জরুরী ভিত্তিতে সারাদেশে দ্রুত ত্রান সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার জন্য মোট ৬৬টি এ ধরনের গুদাম কাম তথ্য কেন্দ্র নির্মান করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসে নওগাঁয় এই ত্রান গুদাম কাম তথ্য কেন্দ্রটি নির্মানের কার্যক্রম হাতে নেয়া হলো। তিনি বলেছেন জেলা পর্যায়ের এসব গুদামে ত্রান সামগ্রী মজুদ থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐ জেলার সকল উপজেলায় জরুরী ত্রান সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন এই লক্ষ্যে একই প্রকল্পের আওতায় আরও ৫শ’টি উপজেলায় এমন ত্রান গুদাম কাম তথ্য কেন্দ্র নির্মানের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় এবং এর অধিনস্থ সকল দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুযোগ্য দায়িত্বশীলতার কারনে এই মন্ত্রনালয় একটি সক্ষম মন্ত্রনালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সেই কারনে দুর্যোগ মেকাবেলা ও যোগাযোগ সচল রাখতে ৩শ কোটি টাকার কার্যক্র চলমান রয়েছে যা দৃষ্টান্তমুলক।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহিত ৪২ নং প্যাকেজের আওতায় জেলা ত্রান গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মান শীর্ষক এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৯২ টাকা।